মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী আবুল গ্রেফতার

মানবতা বিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত যুদ্ধাপরাধী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী মো. আবুল খায়ের’কে (৭০)  রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি দল গতকাল বুধবার দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে উত্তরা-পশ্চিম থানার ১৪ নং সেক্টর আহালিয়ার মাষ্টার গলি এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ পাঠানো হয়েছে।
মো. আবুল খায়ের নোয়াখালি জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানার চর ফকিরা গ্রামের মৃত দানা মিয়ার পুত্র।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কর্তৃক ইস্যুকৃত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী মামলার পলাতক আসামী সে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-১০ এর উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাসস’কে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নোয়াখালি এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে মো. আবুল খায়েরসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ, নৃশংস হত্যাকান্ডসহ মানবতা বিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধাপরাধী আবুলসহ অন্যান্য সশস্ত্র রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিয়ে সাত মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ১০ ব্যক্তিকে হত্যা করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার নামে মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-৮৭, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১
আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধী মো.আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে আসামী দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে চলে যায়।
র‌্যাব বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ওই ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরও জানান, গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পর থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ফাঁকি বা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকত।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *