পাচার করা টাকা বৈধ করার ঘোষণা দিলেন অর্থমন্ত্রী

নতুন বিধানের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী বিদেশে অবস্থিত যে কোনো সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যে কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না। বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে এর ওপর ১৫ শতাংশ, বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে ১০ শতাংশ ও বাংলাদেশে পাঠানো (রেমিটকৃত) নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ হারে করারোপের প্রস্তাব করেন তিনি। এ সুবিধা ২০২২ সালের ১ জুলাই হতে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিধান কার্যকর হলে অর্থনীতির মূল স্রোতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে, আয়কর রাজস্ব আহরণ বাড়বে; আর করদাতারাও বিদেশে অর্জিত অর্থ-সম্পদ আয়কর রিটার্নে প্রদর্শনের সুযোগ পেয়ে স্বস্তিবোধ করবেন।

অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুমোদন হলে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ দেশে ফিরবে। আর সেই অর্থ মিশে যাবে অর্থনীতির মূল প্রবাহে। এর মাধ্যমে সংকট কাটিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল করার কথা বলেছেন তিনি।

বিদেশ থেকে অর্থ ফেরত আনা প্রসঙ্গে অর্থ পাচার রোধে কাজ করা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সাবেক প্রধান আবু হেনা মোহা রাজী হাসান বলেন, ‘যাঁর অর্থ তিনি চাইলে উন্নত দেশগুলো থেকে ফেরত আনতে পারবেন; কারণ ওই দেশগুলো থেকে টাকা পাঠাতে আইনি বাধা নেই। তবে ওই দেশগুলোতে অর্থের বৈধতা, অপরাধ ও কর ফাঁকির অভিযোগ থাকলে ফেরত আনা কঠিন।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *