জার্সি টেনে ও শেষ রক্ষা হলো না ইতালির

ইতালিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে আন্তঃমহাদেশীয় লড়াই ফাইনালিসিমা জিতে নিয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। আর এই ম্যাচে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন সাতবারের ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা।

এ জয়ে তিন গোলের দুইটিতেই অ্যাসিস্ট এসেছে তার পা থেকে। ম্যাচের ২৮ মিনিটে মেসির পাসেই প্রথম গোল করেছেন লাউতারো মার্টিনেজ।

আর একদম শেষ দিকে পাওলো দিবালার গোলেও ছিল মেসির সরাসরি অবদান।

ম্যাচ জুড়েই ইতালির উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলল আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধেই দুই গোল করে নিয়ন্ত্রণ নেয় স্কোলানির দল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়ংকর রূপে দেখা দিল লিওনেল মেসিরা। শেষ মূহুর্তে আরো এক গোল দিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। লাতিন অঞ্চলের দলটির হয়ে গোল করেছেন লাউতারো মার্তিনেজ,আনহেল দি মারিয়া ও দিবালা। এ নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩২ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকল আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয় বারের মত ইউরো সেরা ও লাতিন সেরার ম্যাচ খেলতে নেমে দুইবারই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল আর্জেন্টিনা। এর আগে ১৯৯৩ সালে ডেনমার্কের বিপক্ষে জিতেছিল আলবেসেলিস্তারা।

লিওনেল মেসি, মারিয়া, মার্তিনেজদের নিয়ে গড়া আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই ইতালির উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে। সেই সুবাদে এগিয়ে যাওয়ার রসদ পেয়ে যায় দ্রুত। ২৮ মিনিটে বক্সের বাম দিক থেকে লিওনেল মেসির বাড়ানো পাসে গোলমুখে পা লাগিয়ে বল জালে পাঠান লাউতারো মার্তিনেজ। মেসির সঙ্গে লরেঞ্জো সেঁটে থেকেও আক্রমণ নষ্ট করতে পারেনি। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ব্যবধান বাড়ান আনহেল দি মারিয়া। লাউতারো মার্তিনেজের থেকে পাওয়া বল গোলকিপার দোন্নারুম্মার মাথার উপর দিয়ে চিপ শটে জাল খুঁজে নেন মারিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য বজায় রাখে আর্জেন্টিনা। ইতালিকে কোনোরকম সুযোগ না দিয়ে একের পর এক আক্রমণ চালায় স্কোলানির দল। ৫৯ মিনিটে দি মারিয়ার প্রচেষ্টা লাফিয়ে উঠে রক্ষা করেন দোন্নারুম্মা। দশ মিনিট বাদে আবারও দেয়াল হয়ে দাঁড়ান ইতালি গোলকিপার। এবার লিওনেল মেসির মাপা শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন। শেষ মুহুর্তে তৃতীয় গোলটি করেন বদলি নামা পাউলো দিবালা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *