কিয়েভে নতুন করে হামলা করলো রাশিয়া

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবরুদ্ধ বন্দর নগরী মারিওুপোল ইউক্রেনের সর্বশেষ সেনাদের হত্যা করা হলে মস্কোর সাথে শান্তি আলোচনা বাতিল করা হবে বলে হুমকি দেয়ার পর শনিবার রাশিয়া নতুন করে কিয়েভে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের রাজধানীতে নতুন করে রক্তপাত বাড়ছে, মারিওপোুলেও প্রবল চাপ বাড়ছে। এদিকে আগ্রাসন শুরু হয়ার পর থেকে এই প্রথম কোন ইউরোপীয় নেতা অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার সোমবার  সরাসরি পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। কার্ল নেহামার বলেছেন, তিনি মনে করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ‘বিশ্বাস তিনি যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন’।
রাশিয়ার হামলায় কিয়েভে কয়েক সপ্তাহের তুলনামূলক শান্তিপূর্ণ অবস্থার অবসান ঘটে।
রাশিয়া উচুঁ মানের নিঁখুদ দূরপাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় বিমান হামলার কথা জানানোর পর কিয়েভের ডারনিস্কি জেলা থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়, এই হামলায় একজনের মৃত্যু এবং আরো অনেকে আহত হয়েছে।
ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাটি ঘিরে বিপুল পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন,‘আমাদের বাহিনী আমাদের রক্ষা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে , কন্তু শত্রুরা প্রতারক ও নির্মম।’
নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র কারখানার হামলা একদিন পর এই বিমান হামলা চালানো হয়, কিয়েভ এবং ওয়াশিটনের মতে এই নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কৃষ্ণ সাগরে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ফ্লাগশিপ যুদ্ধজাহাজ মোস্কাভা ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। কিয়েভ অঞ্চল থেকে গত মাসে রুশ বাহিনী সরিয়ে নেয়ার পর এটিই ছিল প্রথম হামলা, রাশিয়া সৈন্য সরিয়ে কিয়েভের পরিবর্তে ইউক্রেনের পূর্বঞ্চলে ডনবাস এলাকার নিয়ন্ত্রনে মনোযোগ দেয়। কয়েক বছর ধরে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর দক্ষিণের বিধ্বস্ত মারিওপেুাল হয়ে উঠেছে রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের অপ্রত্যাশিত ভয়ংকর প্রতিরোধের প্রতীক।
রুশ কর্মকর্তারা এখন বলছেন, মারিওপোুলে তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা ঘেরাও হয়ে পড়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ শনিবার বলেছেন,“তাদের জীবন বাঁচানোর একমাত্র সুযোগ হল স্বেচ্ছায় অস্ত্র তুলে দেয়া এবং আত্মসমর্পণ।”
রুশ বাহিনী মারিওপেুালে ঢোকার পরেই জেলেনস্কি সতর্কতা জারি করেন। তিনি প্রাভদা নিউজ ওয়েবসাইটকে বলেন, মারিওপোুলে আমাদের সৈন্যদের হত্যা ও নির্মূল করা হলে মস্কোর সাথে যে কোন সমঝোতা আলোচনার অবসান ঘটবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *