লম্বা বিরতির পর আরও একবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে জহুর আহমেদে চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সেটাও ভারতকে ধবলধোলাইয়ের উপলক্ষ হয়ে। সবার মুখে একটাই কথা—‘আগামীকালের ম্যাচের টিকিট কীভাবে পাব?’
চট্টগ্রামের বিটাক মোড়ের কাছে সাগরিকা টিকিট কাউন্টার ও এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের কাউন্টারে বিশাল লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে সমর্থকদের। সবার একটাই লক্ষ্য, ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়া।
আজ বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে অবশ্য সে আমেজটা টের পাওয়া গেল না। ঐচ্ছিক অনুশীলন বলে সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, ইবাদত হোসেন ও অধিনায়ক লিটন দাস মাঠে আসেননি। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, ইয়াসির আলী, আফিফ হোসেন, এনামুল হক, নাজমুল হোসেনদের অনুশীলনও হয়েছে হালকা মেজাজে।
সে কারণেই হয়তো বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমটের ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠল, সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ দল হালকা মেজাজে নেই তো?
প্রশ্নটা শেষ হতে না হতেই এই অস্ট্রেলিয়ান কোচের চটজলদি উত্তর, ‘কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা জানি, দল হিসেবে আমরা কিছু সাফল্য পেয়েছি, কিছু ব্যর্থতাও। কিন্তু আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচকে হালকাভাবে নিই না। আমরা প্রথম ম্যাচের পর সেটাকে পেছনে ফেলে এসে দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতেছি। আর বাংলাদেশ কখনো ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারেনি। এটাই এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।’
দলের মানসিকতার ছবিটাও তুলে ধরলেন ম্যাকডারমট, ‘কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ডে কিছু ম্যাচে জয়ের কাছাকাছি এসেছি। পাকিস্তানের বিপক্ষেও বিশ্বকাপের ম্যাচে জিততে জিততে হেরেছি। সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনাও ছিল বাংলাদেশের। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দলের মতো খেলেছি। বাংলাদেশ সহজে হার মানে না। এর মানে হচ্ছে আমরা প্রায়ই চাপের মুখে খেলছি। জয়-পরাজয় যা–ই হোক না কেন, আমরা এসব ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। আমি জানি, এই সিরিজেও দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের পর ছেলেরা আরও একটি জয়ের অপেক্ষায় আছে।’