৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠান উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ ও আশপাশের এলাকায় ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা ব্যতীত অন্যকিছু সঙ্গে আনতে পারবেন না।
কমিশনার আজ রোববার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ডিএমপি’র গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা বলেন ।
নাগরিকদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীতে ঈদগাহ মাঠের সংখ্যা কম। জাতীয় ঈদগাহ ও মসজিদ মিলে ১ হাজার ৪৬৮টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে কোন কোন জায়গায় হয়তো একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে সারা শহরে মুসলমান ভাইয়েরা ঈদের নামাজ পড়বেন। প্রতিটি মসজিদ এবং ঈদগাহে ডিএমপি’র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহে আগে থেকেই ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। জাতীয় ঈদগাহে স্থাপিত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে।
ঈদগাহে আগত মুসল্লিদের তল্লাশি করতে কিছুটা বেশী সময় লাগতে পারে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার মুসল্লিদের নির্ধারিত সময়ের একটু আগে আসার অনুরোধ জানান । ঈদগাহে প্রবেশের আগে সবাইকে তল্লাশি করা হবে, এজন্য গেটে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হলেও সবাই ধৈর্য্যসহকারে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, রাজধানীর ৫০টা থানায় অতিরিক্ত ফোর্স দেয়া হয়েছে, ২ হাজার ৫শ’ ফোর্স প্রতি রাত্রে ডিউটি করবে। প্রতি থানা থেকে ১০টা করে মোট ৫শ’টি মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। ঢাকা শহরকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক চেকপোস্ট থাকবে। ইতোমধ্যে থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে প্রায় ৫শ’ ছিনতাইকারী ও চোর আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন,‘ঢাকা শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে আমাদের টিম থাকবে, সেখান থেকে মনিটর করা হবে, কোথাও কোন অস্বাভাবিক কিছু ঘটছে কিনা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *