কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন লয়েড অস্টিন ও অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৈঠক শেষে সমবেত সাংবাদিকদের উদ্দেশে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জেতার প্রথম ধাপ হলো বিশ্বাস করা যে আমি জিতব। আমাদের বিশ্বাস, আমরা জিতব, তারা (ইউক্রেন) যদি সঠিক অস্ত্র ও সমর্থন পায় তাহলে তারাও জিতবে।’
অস্টিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ছিল ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে যাবে ও ভবিষ্যতে আরও আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকবে।
অস্টিন আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, রাশিয়া এতটাই দুর্বল হয়ে যাবে যে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে তারা যা করেছে, সেটা যেন আর করতে না পারে তারা।’
কয়েক মাস ধরে জেলেনস্কি কামান, যুদ্ধবিমানসহ ভারী অস্ত্রের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আবেদন জানাচ্ছেন। আরও অস্ত্র পেলে তাঁর সেনারা যুদ্ধের গতি বদলে দিতে পারবে বলে যুক্তি দিচ্ছেন তিনি। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত ৩২৮ কোটি ডলারের নিরাপত্তা বা সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হামলা শুরুর পর ইউরোপের অনেক নেতা কিয়েভ সফর করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তাঁরা। কিন্তু ইউক্রেনে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র ও আর্থিক সহযোগিতা পাঠানো যুক্তরাষ্ট্র এত দিন কিয়েভে কোনো শীর্ষ কর্মকর্তাকে পাঠায়নি।