সোমবার মধ্যরাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সে রেশে রাতভর উত্তেজনা ছিল রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায়। মঙ্গলবার সকাল ছিল একেবারে থমথমে। এরপর আবারও পথে নেমে আসেন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানালেন সাবেক ডাকসুর এজিএস ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী।
নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষার্থীর প্রতি উদাত্ত আহবান, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান। যার যার অবস্থান থেকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে চলা হামলা, আগ্রাসন ও অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করুন!
টোকাইদের অরাজকতাকে কোনওভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না উল্লেখ করে গোলাম রব্বানী বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী, সম্মানিত শিক্ষক ও অসুস্থ রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করা পেইড টোকাইদের অরাজকতাকে কোনওভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না! মূল ঘটনা, উস্কানি ও মদদদাতা, গুলি চালানোর নির্দেশদাতা কে বা কারা, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়ার আগ পর্যন্ত নিউমার্কেট ও আশেপাশের সব মার্কেট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকুক।
ঘটনার জেরে মিরপুর রোডের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় চন্দ্রিমা সুপারমার্কেটের সামনে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন। ব্যবসায়ীরাও তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চলে গেছেন।
তবে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ- এমন অভিযোগ করে কলেজের ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা হলের ছাদে ও তেলের পাম্প এলাকায় অবস্থান নেন। ফলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দাবি করলেও ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।