হ্রাসকৃত মূল্যে ৯০ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভোজ্যতেল আমদানি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের পরে দেশে হ্রাসকৃত মূল্যে ৯০ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে। ভ্যাট কমানোর প্রভাব ইতোমধ্যে বাজারে পড়তে শুরু করেছে। খুচরা পর্যায়ে ভোজ্যতেল ১৬২ থেকে ১৬৮ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ভোজ্যতেলের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সরবরাহ কোথাও যেন বাঁধাপ্রাপ্ত না হয়, সেটা দেখা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলে তিনি জানান।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে বাণিজ্যমন্ত্রী ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সয়াবিন ও পাম তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়।বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে ১০ শতাংশ তুলে নিয়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করে দেয় এনবিআর। এই উদ্যোগের পর এখন পর্যন্ত হ্রাসকৃত মূল্যে দেশে ৯০ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি বলেন, ‘পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে বিপনন কোথাও চাঁদাবাজি হচ্ছে কি-না, সেটা খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’ তিনি বলেন,নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারি বিপনন সংস্থা টিসিবিকে স্থায়ীভাবে শক্তিশালী অবস্থায় রাখতে চাই সরকার। বর্তমানে টিসিবির প্রায় ৩০ শতাংশ পণ্য মজুদ আছে। টিসিবি এই অবস্থায় থাকলে দেশের মানুষের ভোগান্তি হবে না বলে তিনি মনে করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী মনে করেন, টিসিবি শক্তিশালী অবস্থায় আছে বলে ১ কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পোঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি বলেন, শাকসবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, তবে আমি মনে করি অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ব্যবস্থাটা আরও উন্নত করা গেলে খুচরা পর্যায়ে এসব পণ্যের দাম কমানো যাবে। বেগুনসহ অন্যান্য সবজির দাম ঢাকায় যতটা বেশি, দেশের অন্যান্য জায়গায় এতটা নয়। ঢাকার তুলনায় অনেক কম।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, সরবরাহ ব্যবস্থায় যেন কোন ধরনের সমস্যা তৈরি না হয়, সেলক্ষ্যে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে একটা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পন্য সরবরাহ করবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *