চলে গেলেন না ফেরার দেশে ক্যাপ্টেন নওশাদ

মা ও বোনের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুমকে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ক্যাপ্টেন নওশাদ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বিমানের আরেকটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করিয়ে ১৪৯ জন যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছিলেন।

দুপুর ২টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বলাকা ভবনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার কর্মস্থলের সহকর্মীরাসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।বিকাল ৩টার দিকে পাইলট নওশাদকে বহনকারী একটি ফ্রিজিং ভ্যান বনানী কবরস্থানে এসে পৌঁছায়। পাইলট নওশাদকে দাফনের আগে সেখানে দ্বিতীয়বারের মতো জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে দাফন করা হয়।

পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের মরদেহ আজ সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ভারত থেকে দেশে আনা হয়। তাকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইটটি সকালে বিমানবন্দরে পৌঁছালে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ভারতের নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে নওশাদের মৃত্যু হয়। নওশাদ সবশেষ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত শুক্রবার সকালে বিমানের একটি ফ্লাইটে ওমানের মাসকট থেকে ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন নওশাদ। ভারতের আকাশসীমায় থাকা অবস্থায় ৪৪ বছর বয়সী এই পাইলট হৃদ্‌রোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হন। এসময় বিমানটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাবা সাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *