ইসলামের আলোকে দেশপ্রেম

ইসলামে দেশপ্রেমের গুরুত্ব অনেক। কোরআনে আছে, ‘হুব্বুল ওয়াতানে মিনাল ঈমান’ দেশকে ভালবাসা ইমানের অঙ্গ। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ বলে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নিজ দেশ অর্থাৎ স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা চিরন্তন, শাশ্বত সত্য বলে ইসলামে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বছর ঘুরে ফিরে এসেছে মহান বিজয় দিবস। বিজয় আনন্দে উচ্ছ্বাসিত লাল সবুজের এ মাটি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয়েছিল আমাদের এই দেশ, বাংলাদেশ। দেশের প্রতি মায়া-মমতা ও ভালোবাসা থেকে লাল সবুজের পতাকা হাতে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন লাখো বাঙালি। শহীদ হয়েছিল লাখো মায়ের সন্তান। দেশের প্রতি এমন ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ করে ইসলাম।

দেশপ্রেম, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসা হচ্ছে ইমানদারের বৈশিষ্ট্য।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করো এবং তোমাদের ন্যায়পরায়ণ শাসকের আদেশ মেনে চলো (সূরা নিসা : ৫৯)। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, দেশ রক্ষার্থে একদিন এক রাতের প্রহরা-ক্রমাগত এক মাসের নফল রোজা এবং সারারাত ধরে ইবাদতে কাটিয়ে দেয়ার চেয়ে উত্তম (মুসলিম শরিফ)।

দেশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে আল্লাহর রাসূল সা. বলেছেন, যে চোখ দেশের সীমান্ত রক্ষায় বিনিদ্র থাকে সে চোখকে জাহান্নাম স্পর্শ করবে না।

আল্লাহর রাসূল নিজে স্বদেশকে ভালোবেসে আমাদের জন্য উদাহরণ উপস্থাপন করে গেছেন। রাসূল সা. মক্কাকে এবং সেখানকার জনগণকে ভালোবাসতেন। তাদের হেদায়েতের জন্য তিনি কঠোর অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন। তায়েফে তিনি এত নির্যাতন সহ্য করেছেন তারপরও কোনও বদদোয়া করেননি।

মহানবী সা. সাহাবিদের কাফিরের অত্যাচারে আবিসিনিয়ায় হিজরতের অনুমতি দিলেও তিনি মক্কায় নির্যাতন সহ্য করে অবস্থান করেছিলেন।

পরিশেষে কাফিরদের কঠিন ষড়যন্ত্রের কারণে এবং আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে তিনি মদিনায় হিজরত করেছিলেন।

আমাদের বিজয় এবং দেশপ্রেমকে যদি ইসলামের আলোকে দেখি তাহলে দেখা যাবে এসব কিছুই জাতির গৌরবের, আনন্দের, অহংকারের, আত্মমর্যাদার। ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *