প্রধানমন্ত্রীর পাশেও অনেক রাজাকার আছেন: গাফফার চৌধুরী

স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার সব জায়গায় রয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) পাশেও অনেক রাজাকার আছেন। তাদের নাম বললে আগামীতে আমার দেশে ফেরাও বন্ধ হয়ে যাবে। বললেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক, কলামিস্ট, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ কালজয়ী এ গানের রচয়িতা ও ভাষাসৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরী।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সম্প্রীতি, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির বিজয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামক সংগঠন।

আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, এখন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির কথা বলা হচ্ছে। দেখা যাবে, এ তালিকা তৈরি করছে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকাররা। আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতের লোক ঢুকে গেছে। তারা এখন বঙ্গবন্ধুর নাম বেশি বলে। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার আগে তাদের (জামায়াত, রাজাকার) তালিকা করা দরকার। আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতিদের বের করে দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে তারা আবারও সমস্যা সৃষ্টি করবে।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের কত কোটি টাকা, আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি লন্ডনে অসুস্থতার অজুহাতে থাকেন। আসলে তিনি সুস্থ। তাকে লন্ডনের শপিংমলে স্ত্রীকে নিয়ে ভালোভাবে হাঁটতে দেখেছি। আমাকে দেখে অসুস্থতার ভান করে। তারেক রহমান তার স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর পরিকল্পনা করছে। তার স্ত্রী ভালো মানুষ। কষ্টে তার সংসার করছে।

তিনি বলেন, বাকশাল থাকলে ভালো হতো। বাকশাল করার তিন মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এটি যাচাইয়ের সুযোগ পাননি। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের হত্যা-সন্ত্রাস হতো না। পুঁজিবাদী মাথাচাড়া দিয়ে উঠত না।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, কাদের মোল্লা একজন আত্মস্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী। যার আদালতের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির রায় হয়েছে, রায় কার্যকরও হয়েছে। একটি পত্রিকা তাকে শহীদ বলেছে। তাদের কথা বলার ভাষা আমার নেই, এটি বললে মুখের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ওর মতো একটা রাজাকার, কুলাঙ্গার, জল্লাদ, কসাই তার জন্ম কী, আমরা জানি না। যার জন্মের ইতিহাস নাই, একটা খুনি, ধর্ষণকারী, বাঙালি হত্যাকারী, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী, আমার মা-বোনের হত্যাকারী, তার কথা বলার আর কিছু নাই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *