ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রলীগের যে সকল নেতা নির্বাচন করেছেন, তারা নিয়ম মেনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ডাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাদ্দাম হেসোইন এ দাবি করেন। তবে এসময় ডাকসু’র ভিপি নুরল হক নুর ও জিএস গোলাম রাব্বানী অনুপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে সাদ্দাম হেসোইন অভিযোগ করে বলেন, ডাকসু’র কোনও অনুষ্ঠানে ভিপিকে পাওয়া যায় না। তিনি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ব্যস্ত।
সাদ্দাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঐতিহ্য রয়েছে, প্রথা রয়েছে, রীতি রয়েছে সে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। যেভাবে একটি সুনির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনকে দায়ী করে বলা হচ্ছে, ছাত্রলীগের নেতা বলেই তাদেরকে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়েছে তা সঠিক নয়।
সাদ্দাম বলেন, আমরা সুস্পষ্ট করে ডাকসুর পক্ষ থেকে বলতে চাই, তারা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি। ভর্তি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে। এ প্রক্রিয়ায় শুধু ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ভর্তি হয়নি, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন ও স্বতন্ত্র জোটের অনেক নেতাকর্মীরা ভর্তি হয়েছে। দুঃখজনক যে, শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনকে চিহ্নিত করে দায়ী করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাদ্দাম বলেন, গোলাম রাব্বানীর বিষয়ে তিনি ডাকসুর ফোরামে আলোচনা করে জানাবেন। উপাচার্যকে দেয়া জিএসসহ ডাকসুর আট জনকে পদত্যাগের চিঠি নুরুল হক নুরের ব্যক্তিগত চিঠি। সে বিষয়ে ডাকসু নেতৃবৃন্দ কেউ জানে না বলে মন্তব্য করেন সাদ্দাম।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) একটি জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে, গত ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতা ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে অবৈধভাবে ভর্তি হন। যার মধ্যে সাত জন কেন্দ্রীয় ডাকসু নেতা ও একজন হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন।