জেরুজালেমে ‘হালাল` সেক্সশপ ?


আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : ইহুদি, ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র শহর হিসেবে পরিচিত ইসরায়েলের জেরুজালেমে একটি সেক্স শপ খুলতে চান বোটিচ নামের এক নারী, যিনি তেল আভিভে ইহুদিদের জন্য একটি কোশের বা হালাল সেক্স শপ পরিচালনা করছেন৷

বিতর্কিত ইহুদি ধর্মীয় নেতা শমুলে বোটিচের মেয়ে চানা বলছেন, ইহুদি ধর্মের অনুশাসন মেনেই যৌনতা সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করেন তিনি৷

এখন যুক্তরাষ্ট্র এমনকি ইহুদি, ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের পবিত্র শহর জেরুজালেমেও এমন কিছু করতে চাই ৷ আমি একদিন সেখানে (জেরুজালেমে) এ ধরনের দোকান খুলতে চাই৷

গত জুলাই মাসে ইসরায়েলের তেল আভিভে সেক্স শপ খুলেছেন চানা বোটিচ৷ দোকানেযৌন খেলনাগুলো নিজেই উপস্থাপন করেন৷ প্রথম দেখায় এটিকে বুটিকের দোকান মনে হলেও ভেতরে ঢুকলেই পাল্টে যাবে ধারনা৷

এই দোকানের এক প্রান্তে চানার এক সহযোগি ও একজন বন্ধু যৌনস্বাধীন ধাচের পোশাক বিক্রি করেন৷ দোকানটিতে এই পোশাকগুলো প্রদর্শন করায় ক্রেতাদের এই দোকানে প্রবেশের ভয় কাটাতে সহায়তা করে৷ বোটিচ বলেন,‘সেক্স টয়গুলো ইহুদিবাদের অনুমোদিত৷ ‘ইভা’ ভাইব্রেটরটি হাত ছাড়াই ব্যবহার করা যেতে পারে৷’

এই দোকানে অন্যান্য জিনিসের মধ্যে ‘অ্যাফ্রোডিসিয়াক’ তেল, মোমবাতি এবং ইরোটিক খেলনা এবং প্লাস্টিকের তৈরি রঙিন সেক্স টয়গুলো বিবাহিতদের সহজেই নজর কাড়তে পারে৷ চানা বলেন,‘‘আমি অশ্লীল বা খুব ফালতু বলে যেগুলোকে মনে করি সেসব দোকানে রাখি না৷।

রেকর্ড সংখ্যক বিবায়ার পর নিঃসঙ্গতা একটি সাধারণ ঘটনা৷ বিবাহের কাঠামোতে যৌনতা অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এর উপর জোর দিয়েছেন ২৮ বছর বয়সি বোটিচ৷ তিনি বলেছেন, এসব অভিনব জিনিসগুলো বিবাহিতদেরই বেশি প্রয়োজন৷

“আমার এখানে এক লোক ছিলেন যিনি তার স্ত্রীর জন্য একটি হাতকড়া ও মোমবাতি কিনেছিলেন৷” বোটাচ এখনও অবিবাহিত এবং তিনি বেড়ে উঠেছেন এমন এক পরিবারে যেখানে যৌনতার বিষয়টি প্রকাশ্যেই আলোচিত ছিল৷

তার বাবা শমুলে বোটিচ যৌনতা নিয়ে ‘কোশের সেক্স: এ রেসিপি ফর প্যাশন অ্যান্ড ইনটিমেসি’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেছেন৷ সেখানে তিনি লিখেছেন, যৌন আকাঙ্ক্ষা প্রেমের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ এরপর থেকে আরও ২০টি বই লিখেছেন শমুলে বোটিচ, যার মধ্যে সর্বশেষটিতে পামেলা অ্যান্ডারসন, সাবেক প্লেবয় সেন্ট্রেফোল্ড এবং ‘বেওয়াচ’ তারকাকে নিয়ে লিখেছেন তিন৷

৫২ বছর বয়সি শমুলে বোটিচ বলেন, ইহুদি আইন অনুসারে নারীরা বিছানায় যা চান, স্বামীর তা দেওয়া উচিত৷ মানুষ বলে ওরাল সেক্স এবং এসব জিনিস নিষিদ্ধ কিন্তু কোনো নারী যা চান, তার যা যা প্রয়োজন হয়, একজন স্বামীকে সেসব নিশ্চিত করতে হবে যেন সে তাকে যৌনভাবে উত্তেজিত করে যৌনতা উপভোগ করতে পারে৷”

চানা বোটেচ জানান, গত জুলাই মাস থেকে এই দোকান শুরুর পর তিনি অনলাইনে কয়েকটি অশ্লীল মন্তব্য পেয়েছেন৷ এসব মন্তব্য উদ্বেগজনক হলেও হুমকির নয়৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *