‘পুঁজিবাজারে না আসলে বাতিল হবে ৩১ বীমা কোম্পানির সনদ’


অ-তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসার জোর তাদিগ দিয়েছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, দেশে জীবন ও সাধারণ বীমার ৭৮টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি কোম্পানি পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত। বাকি ৩১টি কোম্পানি এখনও তালিকাভুক্ত হয়নি। আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব বীমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত হতে হবে। না হলে তাদের সনদ বাতিল করা হবে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, একদেশে দুই রকম হতে পারে না। কেউ পুঁজিবাজারে থাকবে, আবার কেউ বাইরে থাকবে- এটা হতে পারে না। আগামী অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যেই বাইরে থাকা ৩১ কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। অন্যথায় চার ধাপে এদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার একটা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বীমা কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দিয়ে থাকে। সরকারের উদ্দেশ্য পূরণ না হলে লাইসেন্স বাতিল হবে। বীমা কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসলে বাজার আরও শক্তিশালী হবে।

মতবিনিময় সভায় বীমা খাতের প্রধান সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। সমস্যাগুলো হচ্ছে- বীমা পণ্যের স্বল্পতা, বীমা লিটারেসির ব্যবস্থা না থাকা, বীমা দাবি যথাসময়ে নিষ্পত্তি না করা, দেশে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ব্যতীত পুনঃবীমা প্রতিষ্ঠান না থাকা, বীমা কোম্পানিগুলোর কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের অভাব, জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর একচ্যুয়ারির অভাব এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে অপর্যাপ্ততা।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, আইডিআরএ-এর চেয়্যারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং বাংলাদেশ বীমা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনসহ বিভিন্ন বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডি ও খাত সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *