বাংলাদেশের উপকূলে তাণ্ডবের পর প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। রিমালের প্রভাবে সারাদেশে হালকা থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর ঢাকাতেও। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে ভোর থেকেবিস্তারিত..

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে বরিশাল ও ভোলায় তিনজন করে এবং খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালীও চট্টগ্রামে ১ জন করে মারা গেছেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এছাড়াও প্রলয়ংকরী এই ঘূর্ণিঝড়ের ছোবলেবিস্তারিত..

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৫ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (২৭ মে) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ১৯ জেলায় ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।বিস্তারিত..

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল সারা দেশের বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টির ধারাবাহিকতায় আজও সারা দেশে কাল বৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, রাজশাহী বিভাগ ছাড়াও সারাদেশে কাল বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক এসব তথ্যবিস্তারিত..

আগামী তিন মাস আবহাওয়া পরিস্থিতিতে কি হতে পারে, সে বিষয়ে আগাম বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এ পূর্বাভাসে দেশে আগামী তিনি মাসে শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়, মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এবং বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।  আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী তিন মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতেরবিস্তারিত..

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে আজও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের দক্ষিণ ও উত্তরভাগে সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মৌসুমী বায়ু প্রবল অবস্থায় রয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ এবং পরবর্তী তিন দিনে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।বিস্তারিত..

বাংলাদেশে আষাঢ় শেষে শ্রাবণ মাস শুরু হলেও গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির দেখা নেই। বিগত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করে আছে। আকাশে শরত ও হেমন্তকালের মতো বিক্ষিপ্ত মেঘের আনাগোনা এবং একই সাথে তীব্র খরতাপ। ফলে ভরা বর্ষাকালেও বাংলাদেশের মানুষকে ভ্যাপসা গরমের যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্ষাকালে যেবিস্তারিত..

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দেশের কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে সর্বোচ্চ ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া এ সময় শ্রীমঙ্গলে ২৩ মিলিমিটার ওবিস্তারিত..

জেলার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন। এখানে বিভিন্ন গ্রামে আলুর জমিতে কুমড়া চাষ করে ভালো লাভ পেয়েছেন কৃষকরা। লাভ পেয়ে অনেক খুশি এখানের কৃষকরা। আগামীতেও এভাবে একই সাথে দুইটি ফসল করতে চান তারা। বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের উত্তর দিঘলী, ছোট হরিপুর ও নরিনসহ বিভিন্ন গ্রামে এ দৃশ্য দেখা যায়। ছোট হরিপুরবিস্তারিত..

এবার শীতের কুয়াশা পায়নি রাজশাহীর আমের মুকুল। ফলে মুকুলের ভারে নুয়ে পড়েছে এ জেলার আমগাছগুলো। কোথাও কোথাও গুটি বাঁধতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে রঙিন স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে আমচাষী ও বাগান মালিকদের মনে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এবার আম উৎপাদন হবে ভালো। গতবারের তুলনায় এবার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে গুটি আসতে শুরু করেছে। তবে আম পাকবে রোজার পর। ফলে এবার আমের ভালো দাম পাবেন চাষীরা। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলা নিয়ে রাজশাহী কৃষি অঞ্চল। চলতি মৌসুমে এ চার জেলাজুড়ে আমবাগান রয়েছে ৮৪ হাজার ৩৮৮ হেক্টর। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ১৭ হাজার ১২৮ টন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৪ হাজার ৭৩৮ হেক্টরে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১৮, নওগাঁর ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টরে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৫ ও নাটোরের ৫ হাজার ৮৫৭ হেক্টরে জমিতে ৮২ হাজার ৩৯৩ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় মোট আমবাগান ছিল ১৭ হাজার ৬৮৬ হেক্টর। ওই মৌসুমে আম উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪০ দশমিক ৫৩ টন। ওই মৌসুমে আম বাণিজ্য হয় প্রায় ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৬২ হাজার টাকার। অন্যদিকে ২০২০-২১ মৌসুমে আমবাগান ছিল ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর। সেবার মোট উৎপাদন হয় ২ লাখ ১৭ হাজার ১২৮ টন। প্রায় ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ১২ হাজার টাকার আম বিক্রি হয়েছে ওই মৌসুমে। জেলার চারঘাটের আমচাষী মজিদুল হক জানিয়েছেন, এখন সব গাছেই মুকুল। আর কয়েকদিনের মধ্যেই সরিষা দানার মতো হয়ে উঠবে। এখন সেভাবে বাগান পরিচর্যা নেই। আম গুটি হতে শুরু হলেই পুরোদমে পরিচর্যা শুরু হবে। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে। বাঘা উপজেলার আমোদপুর গ্রামের আমচাষী আব্দুল বারী বলেন, গত বছর করোনার কারণে ব্যাপক লোকসান গুনতে হয়েছে। অর্থনৈতিক স্থবিরতা, করোনার বিধিনিষেধসহ নানা কারণে ভালো দাম পাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গতবার লাভ দূরে থাক, পুঁজিই উঠে আসেনি। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। আমের মুকুলে ভরে উঠেছে অধিকাংশ গাছ। এবার আবহাওয়াও ভালো রয়েছে। তাই ভালো বাজারমূল্য পাওয়ার আশা করছি। আশার পাশাপাশি অনেকের মনে আছে শঙ্কাও। নাটোরের আমচাষী রহিম মিয়া বলেন, আমের মুকুল ভালো হলেই হয় না, প্রকৃতি যদি সহায় না হয়। কারণ শিলাবৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দিলে একদিনেই সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে আমচাষীদের। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার আমের ফলন নিয়ে আশাবাদী। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে আমের জন্য আবহাওয়া বেশ অনুকূলে রয়েছে। অন্যান্যবার কুয়াশায় মুকুলের কিছুটা ক্ষতি হলেও এবার সেটি নেই। আবার গত বর্ষা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় মাটি পর্যাপ্ত পানি পেয়েছে। আবার অনেক কৃষক আমবাগানে সাথি ফসল চাষ করেছেন। এতে গাছ পর্যাপ্ত পুষ্টি পেয়েছে। এসব কারণে এবার মুকুলও বেশি দেখা যাচ্ছে, যা থেকে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। এ গবেষক বলেন, গত কয়েক মৌসুমে রোজায় আম পাকছে। ফলে ক্রেতা সংকট থেকেছে। কিন্তু এবার আম পাকবে রোজার পর। তাছাড়া করোনা সংকটও প্রায় কেটে গেছে। ফলে সব মিলিয়ে এবার আমচাষীরা লাভের আশা করতেই পারেন। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আম আবাদ হয়েছে, ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার টন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৮৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত বছর ১৭ হাজার ৬৮৬ হেক্টর জমিতে আম আবাদ হয়েছিল। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন হয়েছিল ১১ দশমিক ৯৬ টন। মোট উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪০ দশমিক ৫৩ টন আম, যার বিক্রয়মূল্য ছিল প্রায় ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৬২ হাজার ১২০ টাকা।বিস্তারিত..